top of page
86cb94_8343bd43876449baa7ba8653337b238b~mv2_d_6000_4000_s_4_2.avif

সুফিয়া ফাউন্ডেশন

86cb94_88aed6dfdda849908611a792567b063b~mv2_d_3543_2362_s_2 (1).avif

আমাদের পরিচিতি

"সুফিয়া ফাউন্ডেশন" একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক, সমাজিক সেবা-সংস্থা, যা কুরআন- সুন্নাহের আলোকে ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধ প্রসারে ব্রতী।  প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য হলো—নারী-পুরুষ ও জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী নির্বিশেষে- সকলের দারিদ্র্য দূরীকরণের যথাযথ  উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজকে স্বনির্ভর ও মর্যাদাশীল রূপে গড়ে তোলা। 

২০২১ সালে আমেরিকায় বসবাসরত  বাংলাদেশ জন্ম নেওয়া একদল আমেরিকান নাগরিক মানবসেবামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ  করে- এবং তারাই ২০২৫ সালে  যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া ও বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে "সুফিয়া ফাউন্ডেশন" প্রতিষ্ঠা করে। ফাউন্ডেশনটি 'সুফিয়া বেগম' (রহ.)-এর নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি তাঁর পরিবারের সেবায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। ''সুফিয়া ফাউন্ডেশন" ইসলামী মূল্যবোধ দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং নিজস্ব  নীতিমালার আলোকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের—খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মৌলিক প্রয়োজন পূরণে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। 

আমাদের স্বপ্ন এমন এক সহানুভূতিশীল বিশ্ব গড়ে তোলা, যেখানে সকল মানুষ সক্ষমতা অর্জন করতঃ নিজের সামাজিক দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি  অপরের কষ্টে এক দেহের মতো  সাড়া দেয়। সুদক্ষতাপূর্ণ অংশীদারিত্ব ও সর্বসাধারণের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এমন টেকসই সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করি, যা সাময়িক  চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নও নিশ্চিত করে।

আমাদের এই মিশনের মূল ভিত্তি হলো—সহানুভূতি, সেবা এবং এই বিশ্বাস যে, প্রতিটি মানুষই সমৃদ্ধি অর্জনের দাবি রাখে/নিজ উন্নতি সাধনের যোগ্য।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যেন আমাদের সকল নেক আমল কবুল করেন এবং আমাদের মা-বাবাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন—আমিন।
 

সালমা ওবায়দুল -বার্তা
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সুফিয়া ফাউন্ডেশন

সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক মহানবী মুহাম্মাদ সা. ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর।
দেশ ও বিদেশের সকল মানব দরদী ভাই-বোনকে সুফিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সকলের আন্তরিক ইচ্ছা ও সমর্থনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ আমাদের সুফিয়া ফাইন্ডেশনের মত বহুমুখী মানবসেবার একটি কেন্দ্রে সমবেত হওয়ার তাওফিক দান করেছেন। সুফিয়া ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার একমাত্র লক্ষ্যই ছিল মানুষের মৌলিক প্রয়োজন পূরণের ভারকে কিছুটা লাঘব করা, এবং যতটা সম্ভব নিজেদেরকে মানবসেবায় নিয়োজিত রাখা। কেননা, মহানবী সা. বলেছেন-
“যে ব্যক্তি তার অপর ভাইয়ের অভাব পূরণে সহযোগিতা করবে আল্লাহ তায়ালা তার অভাব মিটিয়ে দেবেন আর যে ব্যক্তি তার অপর ভাইয়ের পার্থিব কোনও বিপদ দূর করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তার বিপদ দূর করে দেবেন।” (আবু দাউদ: ৪৮৯৩)


একটি হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত আছে যে, কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম; কিন্তু তুমি আমার সেবা-শুশ্রূষা করনি। তখন বান্দা বলবে, হে আমার রব, আমি কিভাবে তোমার শুশ্রুষা করব, অথচ তুমিই তো সারা জাহানের প্রতিপালক? আল্লাহ বলবেন, তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল? তথাপি তুমি তার সেবা করোনি। তোমার কি জানা নেই যে, তুমি যদি তার সেবা করতে তবে সেখানে আমাকেই পেয়ে যেতে? (সহিহ মুসলিম: ৬৪৫০)


প্রিয় বন্ধুগণ! এই হাদিসটি আরোও দীর্ঘ এবং হাদিসে এমন আরোও মানবসেবার বিষয় উল্লেখ করে করে প্রতিটি কথার শেষে আল্লাহ তায়ালা বলছেন- তুমি যদি মানুষের সেবায় যেতে তবে আমাকে সেখানেই পেতে। অর্থাৎ- সৃষ্টির সেবার মাধ্যমেই আল্লাহকে আপন করে পাওয়া যায়। ইসলামের এই মহানুভব ও উদার শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা সুফিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মানব সেবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কারণ, প্রাত্যহিক জীবনের ব্যস্ততা, ব্যক্তিগত প্রয়োজন, সময় ও সুযোগের সীমাবদ্ধতা এবং অর্থনৈতিক টানাপোড়েন এ সবকিছুর মাঝে ব্যক্তিগতভাবে একাকী মানবসেবায় নিয়োজিত থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই সকলের সম্মলিত প্রচেষ্টায় মানবসেবার একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা গেলে সেই কাজটি সহজ, সুগম ও বিস্তৃত হবে।

 

আলহামদুলিল্লাহ, এ যাবত অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনই এই মহান কাজে নিয়োজিত হয়ে সফলও হয়েছেন। তাদের কর্মধারাকেই আদর্শ হিসেবে সামনে রেখে আমরাও এই পথে পা বাড়িয়েছি। আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাই সবকিছুর মূল। তাই আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন এ যাত্রাকে মাঝপথে না থামিয়ে দেন। আমিন। আমরা আশা করবো, সকল মানবপ্রেমী ব্যক্তিই আমাদের সাথে শরিক হবেন। সুফিয়া ফাউন্ডেশন মূলত আপনারই ফাউন্ডেশন।
মানুষের মৌলিক প্রয়োজন পূরণের সহযোগিতার জন্য আমরা খাদ্য বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও সুশিক্ষার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। নিজেদের সামান্য পুঁজির আলোকেই ইতোমধ্যে খাদ্য বিতরণ ও চিকিৎসাসেবার প্রকল্প বাস্তবায়নও করা হয়েছে। পাশাপাশি উপার্জনে অক্ষম, প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত বা নিঃস্ব এমন কিছু মানুষকে মাসিক ভাতা প্রদানের প্রকল্পও স্বল্প পরিসরে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে সুফিয়া ফাউন্ডেশনের অন্যতম একটি মহান লক্ষ্য হলো- দ্বীন-ইসলামের প্রচার ও সুশিক্ষার বাস্তবায়ন করা। যথেষ্ট পুঁজি ও সামর্থ্যের ঘাটতি থকায় আপাতত তা সম্ভব হয়ে উঠছেনা। তবে আল্লাহ তায়ালার অপার কৃপায় আশা করি আমরা অদূরেই তা বাস্তবায়ন করতে পারবো এবং মানবসেবা ও ইসলামের প্রচারের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য হাসিল করতে যতটা সম্ভব প্রচেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ।


সকলের আন্তরিক ভালোবাসা, আস্থা, সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তার মাকবুল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুক। আমিন।

 মুফতি জিকরুল্লাহ বখত -বার্তা
সহ-সভাপতি, সুফিয়া ফাউন্ডেশনশন

نَحْمَدُهُ وَنُصَلِّيْ عَلَى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ

বিশ্বের সকল মানবিক ও পরোপকারী ব্যক্তির প্রতি সুফিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
প্রিয় কল্যাণকামী বন্ধুগণ! রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন:

 االرَّاحِمونَ يرحَمُهم الرَّحمنُ؛ ارحَموا مَن في الأرضِ يرحَمْكم مَن في السَّماءِ.

পরম করুনাময় তাঁর দয়াশীল বান্দাদের উপর-ই দয়া করেন। তোমরা জমিনবাসীদের প্রতি সদয় হলে আকাশের অধিপতিও তোমাদের প্রতি সদয় হবেন। (সুনানে আবি দাউদ)
রাসুল সা. এর এই পবিত্র বাণীর পাশাপাশি আরোও বহু আয়াত ও হাদিস রয়েছে- যাতে বুঝা যায়, আল্লাহ তায়ালার নৈকট্যতা অর্জনের সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে- মানুষের উপকার ও কল্যাণ সাধন।


ইসলামের এই সকল নির্দেশনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই যুগ যুগ ধরে মানবকল্যাণমূলক কাজের ধারা অব্যাহত থেকেছে। প্রিয় রবের নৈকট্যতার আশায় মুসলিম মনীষীগণ নানা উপায়ে জনকল্যাণমুখী কাজ ও সেবার পথে পা বাড়িয়েছেন, তাতে তাঁরা কোনও ধর্ম-বর্ণের শ্রেণী-বিভাজন করেননি।


ইসলামের নির্দেশনা ও পূর্ববর্তী মনীষগণের কর্মধারা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই মানব সেবার মহৎ লক্ষ্যে 'সুফিয়া ফাউন্ডেশন- তার যাত্রা শুরু করেছে। এই যাত্রাকে অভিযাত্রায় পরিণত করতে মহান আল্লাহ'র নিকট তাওফিক প্রার্থনা করছি। আশা করছি আমাদের এই 'ক্ষুদ্র- যাত্রা' সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশাল কাফেলায় রূপান্তরিত হবে ইনশাআল্লাহ ।

و ما توفيقنا الا بالله العلي العظيم

84770f_ac966a5a00af4ddba0298be0ef08deb5~mv2.avif
bottom of page